বাস্তব জীবনে প্রত্যেক মানুষ নানা ঘটনার সম্মুখীন হয়। তার কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ। জীবন কখনও একঘেয়ে ক্লান্ত আবার কখনও রোমাঞ্চকর সুখময়। প্রত্যেক মানুষ চায় তার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা অন্যে জানুক এবং ব্যাক্তি জীবনে প্রয়োগ করুক। আবার অনেকের জীবন এতই ঘটনাবহুল যে অন্যে জেনে সহজেই আকৃষ্ট হয়।
বেশিভাগ আত্মজীবনী শেষ বয়সে লেখা হয়। এতে একসাথে জীবনের প্রায় সব অভিজ্ঞতা তুলে ধরা যায়। আবার অনেকে কম বয়সেই শুরু করেন। তারা জীবনের প্রতিটি ধাপের আভিজ্ঞতা একের পর এক লিখে যায়। আসুন দেখা যাক কিভাবে আত্মজীবনী লেখা যায়।
[*] জীবনের শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা নিন। যেমনঃ শৈশব, কৈশর, তারুন্য, যুবাকাল, বিবাহিত জীবন, পরিবার-সন্তান, চাকুরী/কর্মজীবন,পরিবারের পূর্ণতা (সন্তানদের বিয়ে এবং তাদের সন্তানলাভ), বন্ধু-বান্ধব, জীবনসাথী, প্রত্যাশা-প্রাপ্তি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বাস্তবজীবন থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা ইত্যাদি।
[*] বাস্তব জীবন থেকে পাওয়া ভাল আভিজ্ঞতাগুলি বিশদ বর্ননা করুন যাতে সবাই সেটা নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে পারে।
[*] বাস্তব জীবন থেকে পাওয়া খারাপ আভিজ্ঞতাও বিশদ বর্ননা করুন যাতে অন্য কেউ সেটার পুনরাবৃত্তি আর না করে।
[*] কোন ব্যাক্তির সাথে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার বর্ননায় ঐ ব্যাক্তির সম্পর্কে যত কম তথ্য জানাবেন ততই ভালো।
[*] আপনার আশে পাশের মানুষদের নিয়ে মন্তব্য করতে সতর্ক থাকুন। কাউকে হেয় করবেন না।
[*] কারো সম্পর্কে আক্রমনাত্মক বা উস্কানিমূলক কিছু লিখবেন না।
[*] বেশিভাগ সময় জীবনের ভালো দিক তুলে ধরার চেষ্টা করবেন।
[*] আত্মজীবনীর শেষে, জীবনের চলার পথে ক্ষনিকের জন্য হলেও যদি কারো মাধ্যমে ভালো অভিজ্ঞতা বা খারাপ পরিস্থিতির সম্মূখীন হন অথবা তারা আপনার মাধ্যমে, তবে তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা এবং ক্ষমা করে দিতে এবং চাইতে ভুলবেন না। এতে সবার কাছে আপনি উদারমনা, মহানুভব, দয়ালু এবং একজন ব্যাক্তিত্তবান ব্যক্তি হিসেবে স্মরনীয় থাকবেন।
0 টি মন্তব্য:
Post a Comment